Skip to main content

Featured

Deshi88

 গল্পের পরবর্তী অংশ: মায়া ও রাহুলের প্রথম সাক্ষাতের পর, তাদের সম্পর্ক আরও গভীর হতে থাকে। প্রতিদিনের কথোপকথন, ফোনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলা, একে অপরের প্রতিটি অনুভূতি ভাগ করা—তাদের সম্পর্কটা যেন এমন এক জায়গায় পৌঁছেছিল, যেখানে তারা আর একে অপরকে ছাড়া বাঁচতে পারত না। কিন্তু, বিষয়টি সহজ ছিল না। মায়ার পরিবার ছিল খুব কড়া এবং রাহুলের সম্পর্কে খুব একটা জানতেন না তারা। মায়া জানত, তার পরিবার এ সম্পর্কে কখনোই অনুমতি দেবে না, বিশেষ করে তার বাবা। কিন্তু সে জানত, তাকে আর কিছুই থামাতে পারবে না। সে রাহুলকে চায়, আর তার ভালোবাসা তীব্র হতে থাকে। একদিন, রাহুল মায়াকে এক অদ্ভুত প্রস্তাব দিল—"তুমি যদি সত্যিই আমাকে ভালোবাসো, তাহলে আমার সাথে পালিয়ে চলে আসো।" এটা ছিল একটি সাহসী এবং ঝুঁকিপূর্ণ প্রস্তাব, তবে মায়ার মধ্যে সেই ঝুঁকি নেওয়ার সাহস ছিল। সে জানত, তার জীবন বদলে যাবে, কিন্তু সে প্রস্তুত ছিল। পরের দিন, রাহুল মায়াকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা তৈরি করল। মায়া সবকিছু পিছনে ফেলে, শুধু রাহুলের সাথে থাকতে চাইল। সেই রাতেই, তারা নির্দিষ্ট জায়গায় দেখা করল, এবং কিছুক্ষণ পরেই, তারা একসাথে চলে গেল।...

Deshi pom pom

 নীল নোটিফিকেশনের গল্প"


রাফি আর মায়ার পরিচয় হয় এক সন্ধ্যায়, ফেসবুকের ইনবক্সে। রাফি একটা পেইজে মায়ার একটা কমেন্টে রিয়্যাক্ট করেছিল, আর সেখান থেকেই মায়া ইনবক্সে একটা ‘হ্যালো’ বলে দেয়। রাফি একটু অবাক হলেও রিপ্লাই দেয়।



কয়েকদিনের চ্যাটেই বন্ধুত্ব, তারপর প্রতিদিনের রুটিন হয়ে যায়—গুড মর্নিং থেকে গুড নাইট পর্যন্ত।

রাফি ঢাকা থাকে, আর মায়া চট্টগ্রামে। দেখা না হলেও এক বছর ধরে এতটাই কাছাকাছি হয়ে যায় যেন একে অপরকে না দেখেই চিনে গেছে।


এক বছর পর রাফি বলে, “চলো, দেখা করি।”

মায়া রাজি হয়। প্রথম দেখাতেই দুইজন বুঝে ফেলে, ওদের বন্ধুত্ব আর ভালোবাসার মাঝখানে কোনো সীমারেখা নেই।


দেখা করার এক সপ্তাহ পরই ওরা পালিয়ে বিয়ে করে ফেলে। রাফির পরিবার কিছুটা মানিয়ে নেয়, কিন্তু মায়ার পরিবার রেগে যায় খুব। কিছুদিন যোগাযোগ বন্ধ রাখে।


রাফি একটা ছোট চাকরি করে, আর মায়া পড়াশোনা চালিয়ে যায়। সংসার কঠিন, কিন্তু ওরা দুজন মিলে সব সামলে নেয়। ধীরে ধীরে মায়ার পরিবারও মেনে নেয়, দেখে যে মেয়েটা সুখে আছে, ভালো আছে।


তিন বছর কেটে গেছে। এখন ওদের একটা ছোট মেয়ে আছে। রাত জেগে যখন মায়া মেয়েকে ঘুম পাড়ায়, রাফি তখন চুপচাপ তার পাশে বসে বলে, “তুই না বলেছিলি, ফেসবুকে হ্যালো দিয়ে লাইফটা নষ্ট করবি না! কিন্তু তুই তো আমায় পুরো জীবনটাই দিয়ে দিলি।”



---


শেষে কী হল? সংসার টিকল?

হ্যাঁ, টিকে গেছে—কিন্তু প্রতিদিন সেটা নতুন করে বানাতে হয়। ভালোবাসা সহজ না, কিন্তু যখন দুজনই চেষ্টা করে, তখন অসম্ভবও না।

Comments

Popular Posts