Skip to main content

Featured

Deshi88

 গল্পের পরবর্তী অংশ: মায়া ও রাহুলের প্রথম সাক্ষাতের পর, তাদের সম্পর্ক আরও গভীর হতে থাকে। প্রতিদিনের কথোপকথন, ফোনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলা, একে অপরের প্রতিটি অনুভূতি ভাগ করা—তাদের সম্পর্কটা যেন এমন এক জায়গায় পৌঁছেছিল, যেখানে তারা আর একে অপরকে ছাড়া বাঁচতে পারত না। কিন্তু, বিষয়টি সহজ ছিল না। মায়ার পরিবার ছিল খুব কড়া এবং রাহুলের সম্পর্কে খুব একটা জানতেন না তারা। মায়া জানত, তার পরিবার এ সম্পর্কে কখনোই অনুমতি দেবে না, বিশেষ করে তার বাবা। কিন্তু সে জানত, তাকে আর কিছুই থামাতে পারবে না। সে রাহুলকে চায়, আর তার ভালোবাসা তীব্র হতে থাকে। একদিন, রাহুল মায়াকে এক অদ্ভুত প্রস্তাব দিল—"তুমি যদি সত্যিই আমাকে ভালোবাসো, তাহলে আমার সাথে পালিয়ে চলে আসো।" এটা ছিল একটি সাহসী এবং ঝুঁকিপূর্ণ প্রস্তাব, তবে মায়ার মধ্যে সেই ঝুঁকি নেওয়ার সাহস ছিল। সে জানত, তার জীবন বদলে যাবে, কিন্তু সে প্রস্তুত ছিল। পরের দিন, রাহুল মায়াকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা তৈরি করল। মায়া সবকিছু পিছনে ফেলে, শুধু রাহুলের সাথে থাকতে চাইল। সেই রাতেই, তারা নির্দিষ্ট জায়গায় দেখা করল, এবং কিছুক্ষণ পরেই, তারা একসাথে চলে গেল।...

Deshi video

 "নীল নোটিফিকেশনের গল্প – পর্ব ২: বাস্তবতার রঙ"


বিয়ের তিন বছর পর, রাফি আর মায়ার জীবনে নতুন একটা চ্যালেঞ্জ আসে। মায়া তখন স্নাতক শেষ করে একটা চাকরি পায়। রাফির মনে শুরু হয় টানাপোড়েন—ও ভাবে, “মায়া কি এখন বদলে যাবে?”

অন্যদিকে, মায়া বোঝে রাফির ভেতরের দ্বন্দ্ব, কিন্তু কিছু বলতে চায় না।



রোজকার ব্যস্ততা, মেয়েকে স্কুলে নেওয়া-আসা, অফিসের চাপ—সব মিলিয়ে সময়ের সঙ্গে ওদের মধ্যে কথাবার্তা কমে যায়। রাফি একসময় নিজের মধ্যে গুটিয়ে যেতে শুরু করে।


একদিন রাতে, মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে মায়া রাফিকে জিজ্ঞেস করে,

“তুমি কি খুশি?”

রাফি কিছু বলে না। শুধু একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে। মায়া ধীরে ধীরে ওর হাতটা ধরে।

“আমার চাকরি, মেয়ের স্কুল, সংসার—এসব কিছুর মধ্যে তুমি হারিয়ে যেও না প্লিজ। তুমি ছাড়া আমি তো কিছুই না, রাফি।”


ওদের চোখে চোখ পড়ে, অনেকদিন পর আবার।


পরদিন সকালে, রাফি মেয়েকে স্কুলে দিয়ে আসার পথে একটা ছোট্ট ফুলের তোড়া কিনে আনে। বাসায় ফিরে মায়ার হাতে দেয় আর বলে,

“ফেসবুকের হ্যালোটা কি আবার শুনতে পারি?”


মায়া হেসে বলে,

“হ্যালো, মিস্টার নীল নোটিফিকেশন।”



---


এ গল্পটা এখানেই শেষ না।

জীবনের মতোই এই গল্প চলতে থাকে—উত্থান-পতনে, আনন্দে-কষ্টে।

তবে এক জিনিস একই থাকে—ভালোবাসার ছায়ায় একসাথে পথচলা।

Comments

Popular Posts