Skip to main content

Featured

Deshi88

 গল্পের পরবর্তী অংশ: মায়া ও রাহুলের প্রথম সাক্ষাতের পর, তাদের সম্পর্ক আরও গভীর হতে থাকে। প্রতিদিনের কথোপকথন, ফোনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলা, একে অপরের প্রতিটি অনুভূতি ভাগ করা—তাদের সম্পর্কটা যেন এমন এক জায়গায় পৌঁছেছিল, যেখানে তারা আর একে অপরকে ছাড়া বাঁচতে পারত না। কিন্তু, বিষয়টি সহজ ছিল না। মায়ার পরিবার ছিল খুব কড়া এবং রাহুলের সম্পর্কে খুব একটা জানতেন না তারা। মায়া জানত, তার পরিবার এ সম্পর্কে কখনোই অনুমতি দেবে না, বিশেষ করে তার বাবা। কিন্তু সে জানত, তাকে আর কিছুই থামাতে পারবে না। সে রাহুলকে চায়, আর তার ভালোবাসা তীব্র হতে থাকে। একদিন, রাহুল মায়াকে এক অদ্ভুত প্রস্তাব দিল—"তুমি যদি সত্যিই আমাকে ভালোবাসো, তাহলে আমার সাথে পালিয়ে চলে আসো।" এটা ছিল একটি সাহসী এবং ঝুঁকিপূর্ণ প্রস্তাব, তবে মায়ার মধ্যে সেই ঝুঁকি নেওয়ার সাহস ছিল। সে জানত, তার জীবন বদলে যাবে, কিন্তু সে প্রস্তুত ছিল। পরের দিন, রাহুল মায়াকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা তৈরি করল। মায়া সবকিছু পিছনে ফেলে, শুধু রাহুলের সাথে থাকতে চাইল। সেই রাতেই, তারা নির্দিষ্ট জায়গায় দেখা করল, এবং কিছুক্ষণ পরেই, তারা একসাথে চলে গেল।...

Teravideo

 "লিফটের মাঝে"


রাত দশটা। পুরো অফিস ফাঁকা। মায়া ক্লান্ত চোখে লিফটে উঠল, নীচে নামবে। হাই হিলের শব্দটা শুধু লিফটের ভিতরে প্রতিধ্বনি হয়ে বাজছিল।


দরজা বন্ধ হতেই যাচ্ছিল, ঠিক তখনই একটা হাত ভেতরে এল। দরজা খুলল আবার। রায়ান — লিগাল টিমের নতুন ছেলেটা। হালকা খোলা শার্ট, গলায় ঢিলে টাই, চোখে এক ধরনের আত্মবিশ্বাসী দৃষ্টি।



"এত রাতে?" ও জিজ্ঞেস করল।


"ডেডলাইন," মায়া সংক্ষেপে বলল।


লিফট নামতে শুরু করল, কিন্তু হঠাৎ থেমে গেল। আলো একটু ঝাপসা হয়ে এল।


মায়া চমকে উঠল। "কি হলো?"


রায়ান একটু হাসল, "লাগছে আমরা আটকে গেছি।"


মায়া ভ্রু কুঁচকে তাকাল, "এখন?"


রায়ান এক পা এগিয়ে এল, চোখে চোখ রাখল, "এখনই তো সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং সময় শুরু হয়..."


তারা দুজনেই বুঝে গেল—এই মুহূর্ত, এই নীরবতা, আর এই নির্জনতা—সব মিলিয়ে যেন কোনো অজানা আগুন জ্বলছে।


রায়ানের হাত মায়ার চুলে ছুঁয়ে গেল। মায়ার শ্বাস ধীরে ধীরে গাঢ় হতে লাগল। কেউ কিছু বলল না, কিন্তু চোখে চোখে চলছিল এক অপ্রকাশ্য কথোপকথন।


Comments

Popular Posts